Latest Update
সবুজের অনাবিল সমারোহ, প্রাকৃতিক প্রাণকাড়া সৌন্দর্য ও মোহনীয় পরিবেশে ঢাকা-দোহার মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ঢাকা জেলার অন্তর্গত দোহার উপজেলার প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মালিকান্দা মেঘুলা স্কুল ও কলেজ এলাকার কতিপয় নিঃস্বার্থ ব্যক্তির দানকৃত প্রায় ১১ একর জমির উপর আপামর জনসাধারণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯১৪ সালে ইংরেজ শাসনামলে অবিভক্ত বাংলায় মালিকান্দা মেঘুলা উচ্চ বিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে ১৯২৭ সালে সরকারি স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। ১৯৯২ সালে স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গের আন্তরিক ইচ্ছায় এতদঞ্চলে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটিতে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি সংযোজন করে মালিকান্দা মেঘুলা স্কুল ও কলেজ নামকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এ বিদ্যায়তন আদর্শ শিক্ষা প্রদানে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার ফলস্বরুপ উচ্চমাধ্যমিক স্তর শেষে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের জায়গা করে নিচ্ছে। কর্মজীবনে দেশবরেণ্য নেতা, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলি, সাংবাদিক, প্রশাসক হিসেবে সুনাম অর্জন করছে। ঐতিহ্যের মাইলফলক মালিকান্দা মেঘুলা স্কুল ও কলেজ বিস্তীর্ণ দোহার এলাকার জনগণের প্রিয় শিক্ষা প্রাঙ্গন। পড়াশুনার পাশাপাশি ক্রীড়া নৈপুণ্য ও সংস্কৃতি চর্চায় এ প্রতিষ্ঠানের রয়েছে দীর্ঘ দিনের সুনাম ও ঐতিহ্য। অত্যাধুনিক দু'টি গেইটসহ তিনদিক প্রাচীরঘেরা সুবিশাল ক্যাম্পাসে সুদৃশ্য খেলারমাঠ, নয়নাভিরাম বৃক্ষবাগান, মনোমুগ্ধকর পুকুর সকলের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। এ প্রতিষ্ঠানে ১টি চারতলা, ১টি তিনতলা, ৩টি দোতলা ও ৩টি একতলা একাডেমিক ভবন, অধ্যক্ষ কোয়ার্টার্স ও ২টি শিক্ষক আবাসিক ভবন রয়েছে। যুগোপযোগী শিক্ষাদানের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, একটি চারতলা অত্যাধুনিক আইসিটি ভবন ও বিজ্ঞানাগার। নামাজের জন্য রয়েছে একটি সুবিশাল মসজিদ। প্রতিষ্ঠানটি এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত দেয়ালিকা প্রকাশ, ডিবেটিং, প্রক্টরিয়াল মনিটরিং, একাডেমিক ক্যালেন্ডার, সিলেবাস, ইউনিফর্ম, আইডি কার্ডসহ আধুনিক শিক্ষার সকল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মালিকান্দা মেঘুলা স্কুল ও কলেজ। ফলাফলের দিক দিয়েও ঢাকা জেলার দক্ষিণের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শ্রেষ্ঠত্বের দাবী রেখে চলছে। এ অঞ্চলের বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ, প্রতিষ্ঠানের সুযোগ্য অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক মন্ডলীর নিরলস প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে আধুনিক ও যুগোপযোগী। বর্তমান সভাপতি জনাব মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম, উপমহাপরিচালক (যুগ্মসচিব), বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের পর একডেমিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা উন্নয়ন, নিরাপত্তা জোরদার এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানাবিধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটি এলাকার আপামর জনসাধারণের প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।